জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান

এএফপিকে সাক্ষাৎকার

দেশে ফিরিয়ে এনে শেখ হাসিনার বিচার চান জামায়াতের আমির

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিচার জনগণের দাবি। বিচারের মুখোমুখি করা না হলে ভবিষ্যতে তাঁরা আরও অপরাধ করবেন।

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন জামায়াতের আমির। শুক্রবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এএফপি।
রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অবিচার হয়েছে বলে অন্য কারও সঙ্গে অবিচার হোক—এমন নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। তবে মানুষ তাঁদের (শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগী) বিচার চায়। যদি বিচারের মুখোমুখি না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁরা আরও অপরাধ করবেন।’

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। এই অভ্যুত্থান ঘিরে হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এই ট্রাইব্যুনালেই জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশে যখন মানবতাবিরোধী অপরাধ হবে, তখন তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে কোনো সমস্যা নেই।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশ নেবে বলে সাক্ষাৎকারে জানান দলটির আমির। তবে এ নির্বাচন আয়োজনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে চান তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থবহ হবে না।’

বিএনপির সঙ্গে বর্তমানে জামায়াতের কোনো জোট নেই বলে জানান শফিকুর রহমান। তবে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসুক, তা চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের (জামায়াত) বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা রয়েছে। তাই আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর (তারেক রহমান) বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা হয়েছে।’

এ সময় জামায়াতের সঙ্গে কোনো উগ্রবাদী সংগঠনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নাকচ করে দেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জামায়াত দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শেখ হাসিনার পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে তাঁর দল। এমনকি মন্দির ও মাজারের সুরক্ষার লক্ষ্যে পাহারাও দিয়েছেন জামায়াতের সদস্যরা।