ঢাকা-১৮ আসনে সাড়ে ৬ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় শেরীফা কাদের

শেরীফা কাদের
শেরীফা কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে স্বতন্ত্রী প্রার্থী মো. খসরু চৌধুরী (কেটলি প্রতীক) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক। নির্বাচনে খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫টি ভোট পেয়েছেন।

সেখানে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী শেরীফা কাদের। ৬ হাজার ৪২৯টি ভোট পেয়ে তিনি তৃতীয় হয়েছেন। শেরীফা কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী এবং দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

ঢাকা-১৮ আসনের মোট ভোটার ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৮ জন। রোববার নির্বাচনের দিন আসনটিতে ২১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম হয়। এতে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৩৩টি, ভোটের হার ২৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

এই আসনে খসরু চৌধুরী ও শেরীফা কাদের ছাড়া আরও ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র আরেক প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এস এম তোফাজ্জল হোসেন। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকে ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি।

এবার নির্বাচনে জাতীয় পার্টি তাদের ২৬৩ জন প্রার্থীর মধ্যে শেরীফা কাদেরসহ ৯ জন নারীকে মনোনয়ন দিয়েছিল। তবে জাপার নারী প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র শেরীফা কাদেরই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় ঢাকায় আসন পেয়েছিলেন। স্বামীর কারণে পারিবারিক সূত্রেই রাজনীতিতে নাম লেখান শেরীফা কাদের।

নির্বাচনের আগে ঢাকা-১৮–তে জাপার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা নিয়ে নানা নাটকীয়তা হয়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন গত ১৭ ডিসেম্বর জাপার বনানীর কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থানসহ অনেক ঘটনা ঘটে।

এর আগে ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে দফায় দফায় আলোচনায় জাপাকে ২৬টি আসনে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ঢাকার কোনো আসনে ছাড় না দেওয়ায় জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সে সময় এমন আলোচনাও ছিল। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে শেরীফা কাদেরের ঢাকা-১৮ আসনটি নিশ্চিত হওয়ার পরই জাপা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

ঢাকা-১৮ আসনে শেরীফার জন্য আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়। তবে শেরীফার স্বামী ও জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ অন্তত পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ঢাকায় আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতার জন্য অনেক দেনদরবার করেছিলেন। তাঁদের ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ।