রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে কাল শনিবার বেলা ১১টায় বিএনপির সমাবেশ শুরু হবে। এই সমাবেশের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি। আজ শুক্রবার বিকেল চারটায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
রাজধানীতে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের স্থান নিয়ে কয়েক দিনের চাপান-উতোর পর আজ গোলাপবাগে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনও বলেন, গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি তাঁদের জানিয়েছেন ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আজ এই অনুমতি মেলার পরপরই সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। সেখানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কাল বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরু হবে। গোলাপবাগে মঞ্চ তৈরি, মাইক লাগানো এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাই আমরা।’
এই সমাবেশে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনগণকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান খন্দকার মোশাররফ। তিনি বিশেষ করে ঢাকাবাসীকে সমাবেশের উপস্থিত থেকে ‘ সরকারের জুলুম, অত্যাচার , নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার’ আহ্বান জানান। এ ছাড়া বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে যারা শরিক আছে তাদেরও যার যার অবস্থানে থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে যে ১০ দফা রূপরেখা দেওয়া হবে তার প্রতি সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু), সেলিমা রহমান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল (মিন্টু), এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় তিন মাস আগে বিএনপি ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ করতে নয়াপল্টনের জন্য অনুমতি চেয়ে গত ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ডিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছিল বিএনপি।
বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। কিন্তু ডিএমপি বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলে। পরে নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বিকল্প ভেন্যু নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হয়।
সমাবেশস্থল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন। এর পর থেকে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।