তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুঝতে পেরেছিল যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে, তখনই এই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাঁদের হত্যা করা হয়েছিল, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তাঁরা তাঁদের লেখনী ও বক্তব্যের মাধ্যমে নানাভাবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে, সেই জামায়াতে ইসলামীকে সাথে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকত, দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’
আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে একটি গর্বিত জাতি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। অনেকেই ভেবেছেন, এই বিচার হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু ও চাপ উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে, বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।