নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধান দুই দল পরস্পরবিরোধী অবস্থানে অনড়, যা নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আলোচনার মধ্য দিয়ে দ্রুত সমাধানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন তিন বিশিষ্ট নাগরিক।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। তবে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল একেবারে ‘পয়েন্ট অব নো-রিটার্নে’ বা অনড় অবস্থানে চলে গেছে, এমনটি মনে করি না আমি।
কারণ, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একধরনের আন্তর্জাতিকীকরণ হয়ে গেছে। কৌশলগত জায়গায় এটি চলে গেছে। মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্ -নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। তারা এমনিতেই এসেছে, তা নয়।
সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল অনড় অবস্থানে থাকলে এর পরিণতি ভালো হবে না। এটি নিশ্চয় এই দুই দলও জানে। কারণ, যাঁরা সরকারে আছেন, তাঁরাসহ রাজনীতিবিদদের কাছে আমাদের চেয়ে বেশি তথ্য আছে বলেই আমি মনে করি। তবে শেষ পর্যন্ত যদি দুই দল দুই মেরুতে থাকে, তারা যদি একটি মধ্যবর্তী অবস্থানে না আসে, তাহলে কার কী হবে, তা জানি না। কিন্তু দেশ একটি সংকটে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এটি কারও কাম্য নয়। আমরা কেউই সেটা চাই না। আমরা চাই এই রাজনৈতিক সংকটের উত্তরণ ঘটুক। ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর না হোক। সে রকম নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য হবে না।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকট উত্তরণের ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বই বেশি। তাদের একটি ফর্মুলা বের করতে হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকেও সমাধান বের করা যায়। সংবিধানে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ আছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র মুখোমুখি অবস্থানে আছে। কিন্তু এর মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী চীন সফর করেছেন। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আর আমাদের দেশের বয়স ৫০ বছর হয়ে গেছে। রাজনীতিবিদেরাও যথেষ্ট পরিপক্ব।