রংপুরে সমাবেশে বিএনপির নেতারা
রংপুরে সমাবেশে বিএনপির নেতারা

গণসমাবেশে বিএনপি নেতারা

এই সরকারকে এক মুহূর্তও জনগণ চায় না

রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে বাস চলাচল বন্ধের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। তাঁরা বলেছেন, সরকার কৌশলে গণপরিবহন বন্ধ করে জনগণের জয়যাত্রা ঠেকাতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটে প্রমাণ করেছে, আর কোনো বাধাই কাজে লাগবে না। এখন সরকারকে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে অথবা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে থাকতে হবে।

আজ শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, রংপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুসহ নেতারা সমাবেশে এসেছেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ বলেন, মানুষ এক মুহূর্তও এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে চাইছে না। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলনে নেমেছে। সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে আওয়ামী লীগ নেতাদের কম্পন শুরু হয়েছে।

ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, এ সমাবেশ ঘিরে রংপুর বিভাগের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে, এতেই মনে হয় সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে। রংপুরের মানুষ পাটি বিছিয়ে রাস্তায় ছিলেন। তাঁরা বহুমাত্রিক আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত আছেন। প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ দেওয়া হবে।

সমাবেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনুফুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, রংপুরে বিএনপির গণজাগরণ শুরু হয়েছে। এ জয়যাত্রা ঠেকানো যাবে না।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খেলা হবে। আমরাও বলি, খেলা হবে। এই জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিজয়ী হবে।’

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোয়েম সরকারের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘বাস বন্ধ করে কি জনগণের জয়যাত্রা রুখতে পেরেছেন?’ তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য দেন গত ৮ সেপ্টেম্বর পুলিশের গুলিতে আহত রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তুষার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘চোখ গেছে কষ্ট নেই, এই জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। তারা আমাদের চোখ নিয়েছে, তাদের ছাড় নেই।’