দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

সম্মানজনক আসন চায় ১৪ দলের শরিকেরা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪–দলীয় জোটের শরিকেরা সম্মানজনক আসন প্রত্যাশা করছে। বর্তমান সংসদে শরিকদের ১০ জন (২ জন সংরক্ষিতসহ) সংসদ সদস্য আছেন। এবার শরিকদের প্রত্যাশা ২০টি আসন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসভবনে বৈঠক করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। পরে শরিকদের ওই প্রত্যাশার কথা সাংবাদিকদের জানানো হয়।

এর আগে ১৪–দলীয় জোটের নেতাদের নিয়ে জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সোমবার বৈঠক করেন। সেখানে জোটের দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের পক্ষ থেকে ছয়টি করে আসন ছাড়ের জন্য তালিকা আমির হোসেন আমুর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, জোটের পক্ষ থেকে একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে, আগের চেয়ে কিছু আসন বেশি চেয়েছে ১৪ দল। তিনি বলেন, জোটের মর্যাদা-সম্মান রক্ষা করে যেন আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তবে হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, আসন ভাগাভাগি যেন জোটের জন্য সম্মানজনক হয়, সেটাই প্রত্যাশা। জোটের এখন ১০ জন (২ জন সংরক্ষিতসহ) সংসদ সদস্য আছেন, প্রত্যাশা ২০ জনের। জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে জানিয়ে ইনু বলেন, যেখানে জোটের প্রার্থী আসবেন, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবেন। জোটের প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবেন।

আমির হোসেন আমু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কিছু আসনে আমরা একসঙ্গে নির্বাচন করব। আর কিছু আসনে শরিক দলগুলো নিজেদের মতো নির্বাচন করবে। একসঙ্গে নির্বাচন করা আসনগুলোয় শরিকেরা নৌকা প্রতীক ব্যবহার করবে। বাকি আসনগুলোয় তাদের নিজেদের প্রতীক ব্যবহার করবে।’

১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক বলেন, ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, আগামীকাল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

আমির হোসেন আমু বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট (শক্তিশালী) প্রার্থী আছে। ১৪ দল আদর্শিক জোট। আসন বিন্যাসের ওপর জোটের সম্পর্ক নির্ভর করে না। অন্যান্য দলের মতো ১৪ দল ভাগাভাগির জোট নয়।