গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত অবৈধ ও অগঠনতান্ত্রিক দাবি করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। দলের এক পক্ষের দপ্তর সহসমন্বয়ক শাহাবুদ্দিনের স্বাক্ষর করা ওই চিঠি আজ রোববার ইসিতে দেওয়া হয়।
ইসিতে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, প্রতারণামূলকভাবে রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠকে নুরুল হকের নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকেরা রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের পক্ষ থেকেই দলে রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
সভায় ৪০-৪৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস ও অপসারণ করতে হলে অন্তত ৮১ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয়। চিঠিতে বলা হয়, রেজা কিবরিয়াই দলের আহ্বায়ক হিসেবে বহাল আছেন।
ইসিতে দেওয়া চিঠির সঙ্গে একমত পোষণ করা গণ অধিকার পরিষদের ৪৬ সদস্যের সম্মতিপত্র ও স্বাক্ষর যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি ১ জুলাইয়ের সভায় উপস্থিত ছয় প্রত্যক্ষদর্শী সদস্যের বর্ণনাও যুক্ত করা হয়।
গণ অধিকার পরিষদ রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। দলটিতে চলমান অস্থিরতার মধ্যেই গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যকারিতা এবং অন্যান্য বিষয়ে তথ্যের সঠিকতা সরেজমিনে আবার যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য পুনর্যাচাইয়ের বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াকে চিঠি দেয় ইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ রেজা কিবরিয়া ইসিকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
ইসিতে দেওয়া চিঠিতে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘ব্যক্তিগত অসুস্থতাজনিত কারণে আমি দেশের বাইরে আছি। গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানকে আমার অবর্তমানে নির্বাচন কমিশন–সংক্রান্ত সব কাজ পরিচালনার জন্য দায়িত্ব অর্পণ করছি।’
আগামীকাল সোমবার বিকেলে গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয় সরেজমিন যাচাইয়ে যাবে ইসির তথ্য পুনর্যাচাই কমিটি। এ সময় দলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিব ও দপ্তর সম্পাদককে প্রয়োজনীয় তথ্য–উপাত্তসহ উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে ইসি।