সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতাকর্মীরা। ঢাকা, ৩ আগস্ট
সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন সিপিবির নেতাকর্মীরা। ঢাকা, ৩ আগস্ট

সিপিবির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ধ্বংস ঠেকাতে না পারার দায় নিয়ে এখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ চায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির নেতারা বলছেন, সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে এক মুহূর্ত দেরি না করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

আজ শনিবার রাজধানীতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। বিকেল চারটায় পুরানা পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সিপিবি সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। এ সময় পার্টির অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিপিবি।

সমাবেশে নেতারা বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। সরকার সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে জনগণের কণ্ঠকে রুদ্ধ করতে চেয়েছে। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে দমন–পীড়ন করে ক্ষমতা রক্ষার শেষ চেষ্টা করে চলেছে সরকার। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্র–তরুণেরা বুকের রক্ত দিয়ে যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন, তাতে ভয়ের রাজত্বের বিরুদ্ধে জনগণকে বিদ্রোহের সাহস জুগিয়েছে।

নেতারা আরও বলেন, ছাত্র–তরুণেরা রাজপথ দখলে রেখেছেন। সারা দেশের ছাত্র–জনতা ভয়কে উপেক্ষা করে রাজপথ দখলে নিয়েছেন। এরপরও সরকার পদত্যাগ না করে নতুন নতুন নাটক তৈরির চেষ্টা করছে, যা দেশবাসী গ্রহণ করছে না। সরকার ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করতে চাইলে সংকট আরও বাড়বে বলে মনে করেন সিপিবির নেতারা।

সমাবেশে নেতারা বলেন, সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আর এক মুহূর্ত দেরি না করে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবির প্রতি পুনরায় দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন সিপিবির নেতারা।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রতিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত ছাত্রদের অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এরপর সিপিবি নেতা–কর্মীরা মিছিল করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ছাত্রদের সমাবেশে সংহতি জানান।