রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বর্তমানে পদযাত্রা–সমাবেশের মতো কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানো হচ্ছে। সামনের দিনে ‘গরম’ ও ‘কার্যকর’ কর্মসূচি আসবে। গতানুগতিকসহ আরও সৃজনশীল আন্দোলন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের বিদায় ঘটানো হবে।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজ বুধবার বিকেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ–আন্দোলনের এক দফা ঘোষণা উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে যুগপৎ আন্দোলনের ভিত্তি এক দফা এবং রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই যৌথ ঘোষণা আন্দোলনের রাজনৈতিক ভিত্তিকে আরও জোরদার করবে। রাজপথে গণ–আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে। অচিরেই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে যুগপৎ ধারার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাইফুল হক। এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৮ জুলাই ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। ১৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা হবে। আর ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগরে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।
‘আপনারা গরম গরম কথা বলেন, কিন্তু কর্মসূচি দেন নরম নরম। এসব কর্মসূচিতে এক দফা দাবি আদায় সম্ভব হবে কি না’— এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগই মূল দাবি। চিন্তাভাবনা করে কর্মসূচি দিতে হবে। জনগণ আমাদের পক্ষে আছে। এখন যে কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোকে নরম বিবেচনা করছি না। কত মানুষ যুক্ত করা যায়, সেটিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। সামনে গরম ও কার্যকর কর্মসূচিও নিয়ে আসব।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমরা উচ্ছৃঙ্খল কিছু করতে চাই না। এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম। সরকার শান্তি সমাবেশের নামে অশান্তি করছে। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে সরকার।’
কর্মসূচির বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আন্দোলনের কর্মসূচি ধাপে ধাপে এগোয়। পদযাত্রা দিয়ে নতুন ধাপের যুগপৎ আন্দোলন শুরু হয়েছে। সব ধরনের আন্দোলন হবে। গতানুগতিক ধরনের সঙ্গে সৃজনশীল ধরনও যুক্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।