বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। তাঁদের মধ্যে কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ এবং দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।

সাক্ষাতের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ, এগুলো আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা খোলাখুলিভাবে কথা বলেছি, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব, সেই বিপ্লব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বাংলাদেশে যে পরিবর্তন হয়েছে, সেই পরিবর্তন নিয়ে আলাপ হয়েছে।’

মঈন খান আরও বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর দুর্নীতিতে এই দেশ শুধু ছেয়ে গিয়েছিল তা–ই নয়, এ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক, সেটা স্পষ্ট। কোরিয়া কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসেনি, তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতার উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে, যাতে উভয় দেশের জনগণ এ থেকে উপকৃত হতে পারে। সেটাই হচ্ছে কোরিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের মূলনীতি। এই নীতি অনুসরণ করেই আমরা দুই দেশের মধ্যে অতীতেও সম্পর্ক বজায় রেখেছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি জনগণ বিএনপিকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, তাহলে আমরা বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মানুষের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে উভয় পক্ষের সৌহার্দ্য বজায় রেখে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাব।’

এই সাক্ষাতের সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে আবদুল মঈন ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাজভীরুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।