রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা নির্বাচনে জাল ভোট দিতে গিয়ে দুজন আটক হয়েছেন। আর একজন পালিয়ে গেছেন। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নিভা গুরুদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ও সরেজমিন দেখা যায়, এই কেন্দ্রের একটি বুথের সামনে লাইনে দাঁড়ানো এক যুবকের নাম ও ভোটার নম্বর জানতে চান সাংবাদিকেরা। ওই যুবকের দেওয়া নাম ও ভোটার নম্বর মেলাতে গিয়ে দেখা যায় তাঁর চেহারা ও নামের সঙ্গে মিল নেই। ইতিমধ্যে ওই কিশোর কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যায়।
এরপর আরও দুই কিশোরের হাতে থাকা স্লিপ নিয়ে নাম মেলাতে গিয়ে দেখা যায়, শুকুর আলীর ভোটার স্লিপ নিয়ে যে যুবক লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর জন্মসাল ১৯৭৪। আসল নাম কী, তা জানতে চাইলে ওই যুবক বায়েজিদ বলে জানান।
মাসুদ নামের আরেক যুবকের স্লিপ মেলাতে গিয়ে দেখা যায়, তার জন্ম ১৯৮০ সালে। সে হিসাবে ওই যুবকের বয়স ৪৪ বছর। বাস্তবে তার বয়স অবশ্য ১৭ বছর বলে সে জানায়।
পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ওই বুথে এসে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর ওই দুই যুবককে আটক করে নিজের কক্ষে নিজে যান।
জাল ভোট দিতে যে কিশোররা লাইনে দাঁড়িয়েছিল, তাদের প্রত্যেকের হাতে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্লিপ ছিল। পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলামের প্রতীক মোটরসাইকেল। তিনি মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের চেয়ারম্যান। রেলমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম এবার সাইফুল ইসলামকে সমর্থন দিয়েছেন বলে আলোচনা আছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদ হাসান পাংশা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। এর আগের মেয়াদেও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। সেবার স্থানীয় সংসদ সদস্য তাঁকে সমর্থন দিয়েছিলেন বলে আলোচনা আছে।