ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমার সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান
ছোট ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমার সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান

ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোননয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুলিশের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। তিনি পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি)। তাঁর ভাই শৈলকূপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ–১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন ওয়াহিদুজ্জামান। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন বলে জানা গেছে।

খুলনা-বরিশাল বিভাগের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে গিয়েছি, অসুবিধা কোথায়? আমি তো আর ইলেকশন (নির্বাচন) করতে যাইনি।’

সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কোনো দলের কার্যালয়ে গিয়ে ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আইনি কোনো বাধা আছে কি না, আমার জানা নেই।’

তবে পুলিশের সাবেক আইজি নুরুল হুদা গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, প্রচলিত আইন ও নৈতিকতা যা–ই বলুন না কেন, বাহিনীর পোশাক পরে একজন পুলিশ কর্মকর্তার কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

গত ১৬ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ–১ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৫ জুন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতিমধ্যে এই আসন থেকে ২৫ জন দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।