দ্বিতীয় দিনের প্রথম ভাগে ৫৯টি আপিলের ওপর শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুনানিতে ২৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ২৬ জনের প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে। পাঁচ আপিলের বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের (প্রার্থিতা বৈধ বা বাতিল) বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় দিনের এই শুনানি শুরু হয়। বেলা একটায় মধ্যাহ্নের বিরতিতে যাওয়ার আগপর্যন্ত ৫৯টি আপিলের ওপর শুনানি হয়।
আপিলে যাঁরা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ মাহমুদ, ময়মনসিংহ-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ, কুষ্টিয়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রউফ, মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিক, ঢাকা-১৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. নাজমুল ইসলাম, রংপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. সুমনা আক্তার, ঢাকা-৫ আসনের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী মো. নুরুল আমিন, বাগেরহাট-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজরা সহিদুল ইসলাম, গাইবান্ধা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুম আখতার, কুমিল্লা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল মজিদ, ঢাকা-১৯ আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী মো. জুলহাস প্রমুখ।
প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—ঠাকুরগাঁও-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. তহমিনা আখতার মোল্লা, কক্সবাজার-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহমদ, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম, বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিম, নোয়াখালী-৬ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী তারিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী ফজলুল হক, যশোর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সন্তোষ কুমার অধিকারী, নেত্রকোনা-৩ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান, নেত্রকোনা-২ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন ঠাকুর, ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভীন আক্তার, নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন, নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর, নওগাঁ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুস সামাদ প্রামাণিক, ময়মনসিংহ-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাবুল আহম্মেদ, মানিকগঞ্জ-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. জসীম উদ্দিন প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ-১ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির মোহা. জহিরুল আলম রুবেল, রাজশাহী-৫ আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী মো. আলতাফ হোসেন মোল্লাসহ পাঁচ আপিলের বিষয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইসি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। বাছাইয়ে ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে মোট ৫৫৮টি আপিল হয়। গতকাল থেকে শুনানির মাধ্যমে আপিল নিষ্পত্তি শুরু হয়েছে, যা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। গতকাল প্রথম দিন ৯৪টি আপিল শুনেছে ইসি। এদিন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫৬ জন। যাঁরা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৩৩ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী।