দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তিগত হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাই এ ঘটনা সরকারকেও কিছুটা হেয় করে।
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ আজ মঙ্গলবার এক প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে গতকাল স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর ফলে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজিজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি অবাক ও মর্মাহত হয়েছেন এবং বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। যে দুটো অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়, মিথ্যা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়। তথ্যচিত্রটি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং তাঁর ভাইদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ছিল।
এ বিষয়ে আজিজ আহমেদ বলেন, আল-জাজিরার এই তথ্যচিত্র ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা একই সূত্রে গাঁথা। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যদিও ব্যক্তিগত, তবে বর্তমান সরকারের সময়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই ঘটনাটি সরকারকেও কিছুটা হেয় করে।
আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ২০১৮ সালের ২৫ জুন। ২০২১ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত সময়ে তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক ছিলেন। তার আগে আজিজ আহমেদ কুমিল্লার ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।