ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম বক্তব্য দেন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম বক্তব্য দেন

আগে ফ্যাসিস্টদের হাতে, এখন স্থানীয় বিএনপির হাতে মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে: সৈয়দ ফয়জুল করিম

দেশে নতুন উদ্যমে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে সাধারণ মানুষ আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিপীড়নে পতিত হয়ে বৈষম্যের শিকার হতো। এখন বিএনপির স্থানীয় কিছু নেতার লোভ-লালসা পূরণে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নির্যাতিত হচ্ছে।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ কথা বলেন সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম। সেখানে তিনি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম গতকাল সোমবার ইসলামী আন্দোলনের বরগুনা জেলার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির প্রতিষ্ঠানে গিয়ে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ভাইয়ের কমিশন দাবির অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এ ঘটনা ফেসবুকে লেখার কারণে বরগুনা জেলা বিএনপির এক নেতা ইসলামী আন্দোলন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করার এবং হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এমনকি বিএনপি নেতার পক্ষ হয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তাও হয়রানির হুমকি দেন।

মুফতি ফয়জুল করিম বরগুনা সদরের ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং হুমকিদাতা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রশাসনের উঁচু স্তর থেকে নিচু পর্যন্ত সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা সম্ভব না হলে নির্বাচনের পরিবেশ তো দূরের কথা, স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কঠিন হবে। চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য আরও বৃদ্ধি হবে। কালোটাকার ছড়াছড়ি ব্যাপক হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার আশা বুমেরাং হবে।

চৌদ্দগ্রামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে নিন্দনীয় কাজ বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ওই মুক্তিযোদ্ধা যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, তবে তাঁকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে কোনো জুতার মালা পরানোর ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সে সঙ্গে চাঁদপুরের হাইমচরে সারবাহী জাহাজে সাত খুনের ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটন করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইউসুফ আহমদ মানসুরের সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদ ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।