উন্নয়ন বাজেটের বিদেশি ঋণ নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) অসত্য তথ্য দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই এমনটা করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সিপিডির প্রতিবেদনের ভুল চিহ্নিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডির এই প্রতিবেদন আমি পড়েছি। উনারা বলেছেন, আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ শতাংশ আসে বৈদেশিক সাহায্য থেকে, যা সম্পূর্ণ অসত্য, “অ্যাবসোলুটলি রং অ্যান্ড বোগাস।” আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৩৫ শতাংশ হচ্ছে বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর। আগে আরেকটু কম ছিল। একটা গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনে এ রকম ভুল কীভাবে থাকে। সুতরাং এই প্রতিবেদনে আরও ভুল আছে।’
আজ রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন বড় বড় গ্রুপ যে ঋণ নিয়েছে, সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে সিপিডি বলতে চেষ্টা করেছে, ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এসব বিষয় আগে বহুবার পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এখানে গবেষণার কিছু নেই। তারা পত্রপত্রিকা ঘেঁটে নির্বাচনের আগমুহূর্তে প্রেস কনফারেন্সে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল। সেই প্রতিবেদনেও অনেক ভুল। এ সময় মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে নিবদ্ধ করার জন্যই এটি করা হয়েছে।
সরকারের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সিপিডির মতো প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এবং সরকার যাতে সঠিকভাবে কাজ করে সে প্রয়োজনে ভুল ধরে দেওয়ার জন্য সিডিপির মতো প্রতিষ্ঠান দরকার আছে, গবেষণারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু যখন এই গবেষণায় এত বড় ভুল থাকে, যা “গ্রস মিসটেক, নট সিলি মিসটেক” আর প্রতিবেদন হয় অসত্য তথ্যনির্ভর, তাহলে সেই প্রতিবেদন এবং যারা তা প্রকাশ করে তাদের নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন অত্যন্ত অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। প্রতি আসনে গড়ে সাড়ে ছয়জন প্রার্থী। ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির নেতা রিজভী ও মঈন খানের মন্তব্য ‘সরকার লুটপাটের অর্থ দিয়ে ডামি নির্বাচন করছে’–এর জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ডামি নেতারা কী বললেন এতে কিছু আসে যায় না। তাঁদের আসল নেতা তারেক রহমান আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রুহুল কবির রিজভী ও মঈন খান তো তাঁদের ডামি নেতা। তাঁরা দুজনই ডামি নেতা বলেই ডামি শব্দটা বেশি পছন্দ করেন এবং তাঁরা কী বললেন কিছু আসে যায় না।