সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফররত জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত
সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফররত জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত

অপতথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে সত্য তথ্য দিয়ে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে সত্য তথ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে সফররত জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে রিচার্ড বাইল, মাইকেল স্ট্যাং, সুসান ক্রুটজম্যান, আলজোসা হার্টম্যান, জুলিয়া থেরাস হেল্ড, নাটালি মেরোথ, বেঞ্জামিন বার্ন্ড থমাস সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রকাশিত ২০২৩ সালের প্রতিবেদন ও র‌্যাঙ্কিংয়ের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমি আরএসএফ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও র‌্যাঙ্কিংয়ের ব্যাপারে সমালোচনা নয়; বরং প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেছি। কারণ, ২০২৪ সালেও এটি তাদের ওয়েবসাইটে আছে। আরএসএফের প্রতিবেদনে অনেক ভুল তথ্য আছে এবং এর বিপরীতে প্রকৃত সত্য আমি তথ্য-প্রমাণসহ গণমাধ্যমে তুলে ধরেছি এবং এ–সংক্রান্ত একটা চিঠি আরএসএফকে পাঠিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য—আরএসএফের কাছে সত্য তুলে ধরা এবং আমাদের নিয়ে করা র‌্যাঙ্কিং পুনর্মূল্যায়ন করা।’

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘মাঝে মাঝে কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খারাপ উদ্দেশ্যে সরকারের কাজের সমালোচনা করে থাকেন। বর্তমান সরকার গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। আমরা শুধু অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধ করতে চাই। গণমাধ্যম সঠিক তথ্য-প্রমাণসহ সরকারের সমালোচনা করলে, সেটি সরকারকে সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভুল তথ্য দিয়ে কোনো কিছুর সমালোচনা করলে, সেটা কাউকে সহযোগিতা করে না।’

সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল দুনিয়া থেকে জনগণকে নিরাপদ রাখার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। এর অপব্যবহার নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় সরকার এটি পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সৌন্দর্য। তাঁর সরকার সব সময় চাহিদার নিরিখে সবকিছুর সমন্বয় করে, পরিবর্তন করে।  

রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকেরা বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য বড় ধরনের চাপের কারণ। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে সম্মানজনকভাবে ফিরে যাক। গোটা বিশ্বের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে দায়িত্ব রয়েছে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকা নেওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা। তা ছাড়া যেসব দেশের সামর্থ্য আছে, তারা নিজ নিজ দেশে নিয়ে গিয়ে রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনযাপনে সহযোগিতা দিতে পারে।