জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিনে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান করলেন রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে রওশন এরশাদ তাঁর গুলশানের বাসায় আর জি এম কাদের একই সময়ে কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান করলেন। এর আগে বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়েও কেক কাটেন জি এম কাদের।
প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। আর এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের জাপার চেয়ারম্যান। দলের নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ দেখা যায়। জাপার রাজনৈতিক কর্মপন্থা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের মধ্যে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে।
কাকরাইলে এরশাদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জি এম কাদের বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে স্বাভাবিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। কিন্তু বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ করে কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এর উল্টো কথা বলেছেন রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে।
তবে এরশাদের পৃথক জন্মদিনের অনুষ্ঠান করার প্রসঙ্গ তুলে রওশন এরশাদ নিজেই বলেন, ‘পৃথক অনুষ্ঠান কী দ্বন্দ্ব প্রমাণ করে? দলীয়ভাবে নেতার জন্মদিন স্মরণ করে কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় পার্টি। বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে আমিও দোয়ার আয়োজন করেছি। এতে কোনোভাবেই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা বিভেদ প্রমাণ করে না।’
রওশন এরশাদের অনুষ্ঠানে জাপার সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া, নাজমা আক্তার, হাবিবুল্লাহ বেলালী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কাজী মামুনূর রশীদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান, সাবেক উপদেষ্টা জিয়াউল হক মৃধা, রওশনের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।