দেশবাসীকে ‘প্রহসনের নির্বাচন’ বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে নির্বাচন বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। রোববার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।
সভার এক প্রস্তাবে দেশের ভয়াবহ সংকটময় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে আরও দীর্ঘায়িত করতে সব বিরোধী রাজনৈতিক দল, অর্থনীতিবিদসহ সর্বস্তরের গণতন্ত্রকামী জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া স্বতন্ত্র-ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে সাজানো নির্বাচনের প্রতি দেশবাসীর আগ্রহ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ অবস্থায় সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সব দলের অংশগ্রহণে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয় সভায়। দেশবাসীকে এ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ১ জানুয়ারি বেলা ১১টায় পল্টন মোড়ে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে প্রচারপত্র বিলি করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগে অংশ নেবেন। আগামী ৩ জানুয়ারি ওই দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রচার ও গণসংযোগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।