জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটি।
কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, জাতীয় প্রেসক্লাব, সেগুনবাগিচা হয়ে আবার কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আবদুস সবুরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
এর আগে কাকরাইলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সমাবেশে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন দলের মীর আবদুস সবুর। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি সক্রিয়ভাবে ছাত্রদের পক্ষে ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে একটি চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে জাতীয় পার্টিকে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষের দল হিসেবে চিহ্নিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আবদুস সবুর আরও বলেন, ‘যেই ছাত্রদের আন্দোলনে আমরা সমর্থন দিয়েছি, আমাদের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছে, সেই আন্দোলনে হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরসহ নেতা-কর্মীদের আসামি করা হচ্ছে। এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না।’ তিনি জি এম কাদের ও শেরীফা কাদেরসহ নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই জাতীয় পার্টির ভূমিকা তুলে ধরে আবদুস সবুর বলেন, ১ জুলাই ছাত্ররা চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু করলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ৩ জুলাই সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সামনে ছাত্র আন্দোলনেক সমর্থন দিয়ে বক্তৃতা করেন। যখন আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে আটক করা হলো, জাতীয় পার্টি তাঁদের মুক্তি দাবি করেছিল। ছাত্র আন্দোলনে যখন গুলি চালানো হলো, জাতীয় পার্টি এর প্রতিবাদ করেছে। দুঃখজনকভাবে সেই দলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহাদ ইউ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।