জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমানোকে ‘গরু মেরে জুতা দান’ বলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না)। সোমবার সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তিনি বলেন, প্রতি লিটারে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে আজ প্রায় ৩ শতাংশ দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এটি নিছক প্রতারণাকারী ব্যবসায়ীর মতো ৪০ টাকা দাম বাড়িয়ে ৫ টাকা ছাড় দেওয়া। এটা ‘গরু মেরে জুতা দান’ ছাড়া আর কিছু নয়।
নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ কবীর হাসানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। সভায় মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, জনগণের জন্য ভর্তুকি না বাড়িয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা করাতে চায় সরকার। এটি জনগণের সঙ্গে তামাশা। এর কারণ সরকারের হাতে টাকা ও যথেষ্ট ডলার নেই।
সরকার জোর করে ক্ষমতা ধরে রেখে দুর্নীতি ও লুটপাট করে দেশকে বড় অর্থসংকটে ফেলে দিয়েছে। তারা সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখিয়ে দেশকে শ্রীলঙ্কার পথে নিয়ে এসেছে।
৬ আগস্ট ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, পেট্রলে ৪৪ ও অকটেনে ৪৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এরপর সব ধরনের পণ্য ও সেবার দাম বাড়তে থাকে।
ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরই সরকারের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। শুল্ক কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি উঠতে থাকে।
এই প্রেক্ষাপটে রোববার ডিজেলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। আর ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়। আজ সোমবার ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও কেরোসিনের দাম লিটারে পাঁচ টাকা করে কমিয়েছে সরকার। আজ রাত ১২টা থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, শুল্ক কমানোয় ডিজেলে লিটারপ্রতি খরচ কমেছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। দাম কমানো হয়েছে পাঁচ টাকা।
বিশ্ববাজারে দাম চড়ায় থাকায় বিপিসিকে ভর্তুকি দিতে হবে। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমলে আবার সমন্বয় করা হবে। দাম কমানোর পর জ্বালানি তেলের মূল্যতালিকায় কেরোসিন-ডিজেলের লিটার ১০৯ টাকা, পেট্রল ১২৫ ও অকটেন ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।