হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটিতে কোনো আলেম অন্তর্ভুক্ত না করাটা ছিল গুরুতর বৈষম্য: হেফাজত

পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল করায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি), ব্র্যাকসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সমালোচনা ও বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলেছে, গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী নতুন বাংলাদেশে শিক্ষাবিশেষজ্ঞহীন সমন্বয় কমিটিতে কোনো আলেম অন্তর্ভুক্ত না করাটা ছিল গুরুতর বৈষম্য।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিলে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার প্রতিবাদে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন সমন্বয় কমিটি বাতিল ইস্যুতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের বিবৃতি পড়ে আমাদের মনে হয়েছে, তারা ইসলামি জনমতকে বাদ দিয়েই তথাকথিত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চান। তাদের বক্তব্যে উগ্র সেকুলার ফ্যাসিবাদ কায়েমের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।’

বিবৃতিতে হেফাজতের দুই নেতা বলেন, ‘যেখানে হাসিনার শাসনামলজুড়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাদি নিয়ে ওলামায়ে কেরাম সর্বোচ্চ সোচ্চার ছিল, সেখানে নতুন বাংলাদেশে শিক্ষাবিশেষজ্ঞহীন ওই সমন্বয় কমিটিতে কোনো আলেম অন্তর্ভুক্ত না করাটা ছিল গুরুতর বৈষম্য। কিন্তু তা নিয়ে সেকুলারদের কোনো আলাপ বা প্রশ্ন নেই। উল্টো ‘মৌলবাদ’ ট্যাগ দিয়ে ইসলামি জনমতকে তাঁরা কোণঠাসা করতে চান। তাঁদের এমন ফ্যাসিবাদী ভাষা ও আচরণের কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
আলেম-ওলামা ও ইসলামি জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে যেকোনো আত্মবিনাশী সাম্রাজ্যবাদী অ্যাজেন্ডা ঠেকিয়ে দেবে বলে বিবৃতিতে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন হেফাজতের দুই নেতা।