সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: হাসানুল হক ইনু

সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু  
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, সিপাহী বিদ্রোহের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বিদ্রোহকে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রথম ‘অপপ্রচার’ চালান। পরবর্তী সময়ে কিছু মহল এটাকে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা’ দিবস হিসেবেও পালন করছে। ৭ নভেম্বর কখনোই ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ বা ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা’ দিবস ছিল না।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন। কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান স্মরণে এই সভার আয়োজন করা হয়।

জাসদ সভাপতি দাবি করেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান ছিল ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের বিরুদ্ধে সামরিক শাসন উচ্ছেদের মহান প্রচেষ্টা। কিন্তু জেনারেল জিয়াউর রহমান চক্রান্তকারীদের সহযোগিতায় অভ্যুত্থানকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে নিজেই রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে দেশে পুনর্বার সামরিক শাসন জারি করেন।

সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে যারা খাটো করে, তারা কার্যত অবৈধ দখলদারদের মহিমান্বিত করে বলেও মন্তব্য করেন হাসানুল হক ইনু। জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি বর্তমানের বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী আবারও দেশকে অবৈধ ক্ষমতা দখলের ধারায় ফেরত নেওয়ার চক্রান্তের অংশ হিসেবে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে এবং জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন ও দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান, শওকত রায়হান, ঢাকা মহানগর উত্তর জাসদের সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।