পাঠ্যবইয়ে ভুল ও অসংগতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করার আগে বই পড়ে দেখতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘পাঠ্যবই নিয়ে কেউ গুজব বা বিভ্রান্তি ছড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তথ্যমন্ত্রী শুক্রবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে চারটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
‘পাঠ্যবই নিয়ে একটি মহল অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পাঠ্যবই নিয়ে ক্রমাগত বিভ্রান্তি ছড়ানো কোনোভাবেই সমীচীন নয়। যাঁরা কোচিং করান বা নোটবই ছাপান, তাঁদের অনেকে যেমন বিভ্রান্তি ছড়ানোতে যুক্ত হয়েছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবও পাঠ্যবই না পড়েই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০-১১ বছর আগে পাঠ্যবইয়ে কিছুটা ভুলভ্রান্তি ছিল, সেগুলো তখনই সংশোধন করা হয়েছে। এখন যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, সেগুলো ১০-১১ বছর আগেরই। পাঠ্যবইয়ে যদি কোনো ভুলত্রুটি থাকেও, সেগুলো সংশোধন করার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি প্রয়োজনে আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও বসবে। যদি কোনো ভুলত্রুটি চিহ্নিত হয়, তাহলে সেগুলো সংশোধন করা হবে বলে ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলাও হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে কোনো ইস্যু নেই তো, এ জন্যই এখন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে লেগেছে। কোথায়, কোন পৃষ্ঠায় একটু বলুক না, ভুলটা কোথায় আছে। না পড়ে তারা মতামত দেয়। মির্জা ফখরুল সাহেব এটা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করছেন। আমি তাঁকে পাঠ্যবই আগে পড়ার জন্য বলব।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর গ্রন্থ অবলম্বনে বিসিএস তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা আফরোজা রিমার কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতার আলোয় আমার দেখা নয়াচীন’ ও ‘কবিতার মায়ায় কারাভাষ্য’; কথাশিল্পী ইরানী বিশ্বাসের গবেষণাগ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু: একজন স্বামী ও পিতা’ এবং সাংবাদিক ও সংস্কৃতি সংগঠক মীযানুর রহমানের প্রবন্ধ সংকলন ‘সময় এখন বাংলাদেশের’ মোড়ক উন্মোচন করেন।