অতীতের অর্থনৈতিক সংকটের কারণ চিহ্নিত করে তা দূর করার কোনো দিকনির্দেশনা প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। তাই দেশের অর্থনীতি সংকটের চক্রেই ঘুরপাক খেতে থাকবে বলে মনে করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বজলুর রশীদ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখান করে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা।
সমাবেশে বজলুর রশীদ বলেন, সরকারের দুর্নীতি, অপচয় ও লুণ্ঠনমূলক নীতির দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে কর ও ভ্যাট বৃদ্ধির বাজেট জনজীবনে দুর্ভোগ বহু গুণ বাড়াবে। প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটের চক্রে ঘূর্ণমান দিশাহীন বাজেট বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, টাকার অবমূল্যায়ন, মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি বিবেচনায় নিলে বাজেটে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষি এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতেও বরাদ্দ বাস্তবে বাড়েনি; বরং কমেছে। টাকার অঙ্কে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বাস্তবে তা পেনশনভোগী, উপবৃত্তি ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতায় চলে যাবে। মুঠোফোনে ১০০ টাকার টক টাইম পেতে এখন গ্রাহককে দিতে হবে ১৩৯ টাকা। মেট্রোরেলেও ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। যা জনজীবনে ভোগান্তি বাড়াবে।