প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। ঢাকা, ১৯ অক্টোবর
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। ঢাকা, ১৯ অক্টোবর

দ্রব্যমূল্য নাগালের বাইরে, সমাধান হওয়া উচিত: আন্দালিব পার্থ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপের পর বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য আস্তে আস্তে মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে চলে গেছে। আমার মনে হয়, দৃশ্যমান কিছু কাজ এখানে করা উচিত। বড় বড় ব্যবসায়ী যাঁরা আছেন, যাঁরা বিশেষজ্ঞ আছেন, তাঁদের সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করা উচিত।’

শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আন্দালিব রহমান পার্থ।

আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক ১৪ দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপি নেতা আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলকে দেখেছি এই হত্যাকে (জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা হত্যা) সমর্থন করে আরও কঠোর হতে বলেছে। ওনাদের বিরুদ্ধে কেন কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না! নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সে বিষয়টি মুখ্য নয়। একটা ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’
আন্দালিব রহমান বলেন, নির্বাচনমুখী সংস্কার জরুরি। কারণ, আর বেশি সময় নেই। তিনি বলেন, এমন কোনো সংস্কার হাতে নেওয়া উচিত নয়, যেখানে জনগণ মনে করবে যে এটা কোনো নির্বাচিত সরকারের করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এটা জনগণের সরকার। কিন্তু জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশের কথাও প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন আন্দালিব রহমান। তিনি বলেন, ‘গণহত্যার যে বিচারকাজ, সেটা সুষ্ঠুভাবে শুরু হয়েছে। সে জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা চাই, গণহত্যার বিচার ভালোভাবে যাতে হয়।’

বিজেপির চেয়ারম্যান বলেন, আওয়ামী লীগের গণহত্যা ও গণতন্ত্র হত্যার বাইরেও আরেকটা বিষয় ছিল দুর্নীতি। দুর্নীতির টাকা ফিরিয়ে আনতে ‘মানি রিকভারি’ নামের একটি কমিটি করা উচিত। পাচারের নামে যে টাকা চলে গেছে, সে টাকা যাতে ফেরত আসে, সে জন্য এই কমিটি করা উচিত বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মতামত জানিয়েছেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিজেপির অন্য নেতাদের মধ্যে দলের মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওয়াসিকুর অঞ্জন অংশ নেন।