ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবি পার্টির নেতারা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবি পার্টির নেতারা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এবি পার্টির নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবি পার্টির নেতারা। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের পাঁচ দশকের অংশীদারত্বমূলক সম্পর্কের  প্রশংসা করেন তাঁরা।

মঙ্গলবার বিকেলে চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান, যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান, এবি পার্টি উইমেন ইনচার্জ নাসরীন সুলতানা, ইইউ ঢাকা মিশনের উপপ্রধান বার্ন্ড স্প্যানিয়ার এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) সেবাস্তিয়ান রিগার-ব্রাউন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ সময় এবি পার্টির নেতারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর এবি পার্টির সমালোচনা ও পর্যালোচনা প্রশংসিত হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে আসে।

চীন ও অন্যান্যদের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারত্বের সুসম্পর্ক বজায় রেখে বহুদলীয় গণতন্ত্র, জবাবদিহি, স্বচ্ছতা, সুশাসন, বহুত্ববাদ, মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধার মতো নাগরিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সমন্বয় করার কোনো বিকল্প নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবি পার্টির নেতারা। তাঁরা মনে করেন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও বাড়তে পারে যদি দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি কমানো যায়। এ ক্ষেত্রে পাশাপাশি পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্ত হত্যা, বাণিজ্যঘাটতিসহ দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তাঁরা।

চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে এবি পার্টির নেতারা বলেন, কোটাপদ্ধতি অসাংবিধানিক ও একটি মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তবে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সীমিত আকারে কোটা রাখার পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেন তাঁরা।