পল্টন থানায় করা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ শুক্রবার বিকেলে এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পল্টন থানায় করা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শমসের মবিন চৌধুরীকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। অন্যদিকে শমসের মবিন চৌধুরীর পক্ষে জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত শমসের মবিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম মোল্লা নিহত হন। তাঁকে হত্যার অভিযোগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭০৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা।
প্রবীণ রাজনীতিক শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন শমসের মবিন চৌধুরী। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদা। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর ডিওএইচএসের বাসা থেকে শমসের মবিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। তার আগের দিন বুধবার ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শমসের মবিন চৌধুরীকে ফেরত পাঠানো হয়। ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তাঁদের বুধবার দুপুরে থাই এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় রেখেও তাঁদের বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি।