বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলাদেশে এত কোটিপতি প্রার্থী আসে কোত্থেকে? নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে তিনি ওই প্রশ্ন তোলেন।
আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নজরুল ইসলাম খান। টিআইবি গতকাল তাদের বিশ্লেষণ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রায় ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে)।
বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, তারা (আওয়ামী লীগ) এখন নির্বাচন করছে, তাদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রার্থী কোটিপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, এত কোটিপতি কোত্থেকে আসে বাংলাদেশে?
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ২২ পরিবারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করলাম…আর আজ ২২ শ পরিবার তৈরি হয়ে গেল।...হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুট হয়ে গেছে। কারা এই টাকা লুট করেছে? সরকার কি জানে না, সরকার কি তাদের ধরতে পারে না? কিন্তু ধরে না।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এর ফলে কী হচ্ছে? এর ফলে দেশ আরও দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। জিডিপিতে যা দেখানো হয়, সেখানে একটা বড় হিসাব। তিনি বলেন, দেশটাকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
সরকারের পাতানো নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করুন, বর্জন করুন। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ডাকাতি ঠেকাতে না পারেন, অন্তত ডাকাতের সঙ্গে যুক্ত হবেন না, ডাকাতিতে সহযোগিতা করবেন না। এই হলো আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ।’
বিএনপি–সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে ‘ডামি নির্বাচন বর্জন, অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে’ এই মানববন্ধন হয়। পরে চিকিৎসকদের নিয়ে নজরুল ইসলাম খান পথচারীদের মধ্যে ভোট বর্জনের প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এ সময় ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদ, মহাসচিব আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল কবির, ওবায়দুল কবির খান, শহিদ হাসান, জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোট বর্জনের আহ্বানসংবলিত প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এই সময়ে বিএনপির নেতা তাহসিনা রুশদির, শিরিন সুলতানা, রেহানা আক্তার, নিলোফার চৌধুরী, সৈয়দ আসিফা আশরাফী, নেওয়াজ হালিমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।