কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলা হলেও ছাত্রনেতাদের তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁরা এক বিবৃতিতে ছাত্রনেতাদের তুলে নেওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অবিলম্বে সব ছাত্রনেতাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন নেতারা।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি পাঠিয়েছেন নাগরিক ঐক্য, জেএসডি, এলডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ব্লক রেইডের নামে চিরুনি অভিযান চালিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের আটক করা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বিবৃতিতে তাঁরা বর্তমান সরকারের পদত্যাগও দাবি করেছেন।
নেতারা বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বললেও গ্রেপ্তার ও তুলে নেওয়ার ঘটনা চলছে। এর নিন্দা জানান বিভিন্ন দলের নেতারা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে গত শুক্রবার; আরও দুই সমন্বয়ককে গত শনিবার এবং আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে রোববার ভোরে হেফাজতে নিয়েছে ডিবি। এই ছয়জন সমন্বয়কই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই ছয় সমন্বয়কের পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে তুলে নেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দলের বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আন্দোলনের ঘটনায় হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার, অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া কারফিউ প্রত্যাহার করে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ সব বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, গুলি, হত্যার পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা ও বাস্তবায়নকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান বিভিন্ন দলের নেতারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নেতারা হলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ১২–দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ এলডিপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান।