বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, সংঘাতের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে যেতে হবে। এ জন্য যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের উদ্যোগ নিতে হবে। না হলে বাংলাদেশের আকাশে অন্ধকার দেখা দেবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহান বিজয় দিবস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান বলেন, একদলীয় সরকারের নির্বাচন লাগেই বা কেন। কারণ, দলের মধ্যে ভাগাভাগি হচ্ছে। কোনো সরকার যখন গণতান্ত্রিক ভান করে তখন তা স্বৈরাচারের চেয়েও ভয়ংকর। এই সরকার কাল্পনিক গণতন্ত্রের ফানুস তৈরি করে মানুষের সামনে তুলে ধরছে। এই ফানুসের গ্যাস বের হয়ে গেলে তারা মুখ থুবড়ে পড়বে।
দেশকে ভালোবাসলে আওয়ামী লীগকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। নির্বাচনের পর সরকার ৫ দিন টিকবে কি না, এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক নয়। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টিকে না। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে। এবার সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এই সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নেই।
ভোটকেন্দ্রে নাটক হবে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার কী ভোট করছে? সেখানে কোনো প্রার্থী নেই, কেউ ভোট দিতে যাচ্ছে না। বানরের পিঠা ভাগ হচ্ছে। এ জন্য নিজ প্রার্থী থাকার পরও স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। ইনু, মেননের মুখ শুকিয়ে গেছে। নিজেরাই টিকতে পারবে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। গায়েবি সব মামলায় সাক্ষী প্রমাণ ছাড়া সাজা দিয়ে দিচ্ছে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। জেলে নিয়ে বলছে, নির্বাচনে আসেন। কী প্রহসন!
ড্যাব সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. আবদুস সালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের সভাপতি লুৎফর রহমান, ড্যাব নেতা এম এ সেলিমসহ প্রমুখ।