রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকার নাশকতা করে হরতাল-অবরোধকারীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা সুস্পষ্ট। এ ঘটনার সঙ্গে রাষ্ট্রক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে অনলাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
আজ ভোরে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ট্রেনের একটি বগি থেকে মা, শিশুসন্তানসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ‘মানবতার শত্রু’ উল্লেখ করে রুহুল কবির বলেন, ‘একই ট্রেন কয়েক দিন আগে লাইনচ্যুত হয়েছিল। একই ট্রেন দুবার আক্রান্ত হয়েছে। এই ট্রেনের নিরাপত্তা কোথায়? এ ঘটনার সঙ্গে রাষ্ট্রক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, সরকার এর জন্য দায়ী।’
পুলিশের পক্ষ থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক, শয্যা প্রস্তুত রাখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রুহুল কবির বলেন, ‘হঠাৎ কেন এমন চিঠি? সবার মনে সন্দেহ জাগছে। তেজগাঁওয়ের ঘটনা কারা করেছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে। অবরোধ-হরতালকারীদের ওপর দায় চাপানো পরিকল্পিত ঘটনা। আমরা আগেই বলেছি, সরকার এখন জঙ্গি-নাশকতার নাটক সাজাবে। সেটারই বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।’
সরকার ডামি নির্বাচন করতে নানা কারসাজি করছে অভিযোগ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তারা উন্নয়ন, পদ্মা সেতুর কথা বলে; কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে না। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন এখন সরকারের ক্রীতদাস। মধ্যযুগের রাজা-বাদশারা যতটা আইন মানতেন, সরকার সেই অন্ধকার সময়কেও ছাড়িয়ে গেছে।
সরকার নির্বাচনে আসার দর-কষাকষি করতে বিএনপির নেতাদের কারাগারে নিয়েছে বলে রুহুল কবির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্ছিদ্র, নিরাপদ, টুঁ শব্দবিহীন নির্বাচন করতে বিএনপির নেতাদের কারাগারে নেওয়া হয়েছে। সরকার মনে করছে, রাশিয়া আছে, ভারত আছে। রাশিয়া-ভারতের সমর্থনে সরকারের পোয়াবারো অবস্থা।’