সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হলেও বেলা সোয়া দুইটা থেকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নয়াপল্টন এলাকাকে ‘ক্রাইম জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ জন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটায় সরেজমিনে দেখা যায়, নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাওয়ার পথে নাইটিঙ্গেল মোড়ে দেওয়া ব্যারিকেডের সামনেই সাংবাদিকদের আটকে দেওয়া হচ্ছে।
সকাল থেকে যারা নাইটিঙ্গেল মোড়ে দেওয়া ব্যারিকেডের ভেতরে অবস্থান করছিলেন তাঁদের বাইরে চলে যেতে অনুরোধ জানান পুলিশের যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কথা বলা শেষ হলে আপনারা (সাংবাদিকেরা) বাইরে চলে যাবেন। বাইরে আপনাদের যেখানে কমফোর্ট হয়, সেখানে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করব। আমাদের অভিযান এখনো শেষ হয়নি।’
রাজনৈতিক দলের অফিসে (বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে) বোমা থাকবে—এটা কল্পনাও করতে পারি না, এমন মন্তব্য করে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘এটিকে বোমা নিক্ষেপের স্থান হিসাবে অবহিত করে কর্ডন করে রেখেছি। আমাদের বিশেষজ্ঞ দল এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যতক্ষণে পর্যন্ত এই রাস্তাকে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত করতে না পারব; কারণ, আমাদের কাছে তথ্য আছে তারা বোমা মজুত করে রেখেছে, ঝুঁকিমুক্ত না করা পর্যন্ত এই রাস্তায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি।’
নাইটিঙ্গেল মোড়ের বাইরে সাংবাদিকেরা অবস্থান নেন। সেখানে উৎসুক জনতা গেলে তাঁদেরও ধাওয়া দেয় পুলিশ।
বেলা দুইটার দিকে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিনের দুটি গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করেছে। এর আগে ডিবির বোম ডিস্পোজাল ইউনিটও বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।