জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত দ্বিগুণ করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। জামানতের অর্থ বিদ্যমান ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৪ সালের জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইনে কিছু সংশোধনী আনতে চায় ইসি।
আজ রোববার ইসির বৈঠকে এসব সংশোধনী প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন সেসব প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। জাতীয় সংসদে পাস হলে এগুলো আইনের অংশ হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় আইনটির কিছু ধারার সংশোধন আনার বিষয়ে অনুমোদন দেয় ইসি।
সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচন আইনের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও ধারায় সংশোধনীর প্রয়োজন ছিল। কমিশনার রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি আইনের সুপারিশগুলো তৈরি করে ওই সংশোধনীর খসড়া কমিশন সভায় উপস্থাপন করেছে। কমিশন সেটা অনুমোদন দিয়েছে।
সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই খসড়া সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে মন্ত্রিসভায় যাবে। তারপর সংসদে যাবে। এভাবে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি পাস হবে।
সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০০৪ সালের আইনে মহিলা সংরক্ষিত আসন ছিল ৪৫টি। পরবর্তী সময় ৫০টিতে উন্নীত করা হলেও আইনে সেটা সংশোধন করা হয়নি। এটি সংবিধানের তফসিলে সংশোধন ছিল। এটাকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সচিব জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, বিদ্যমান আইনে মহিলা সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের সময়সীমা রয়েছে ৪৫ দিন। এটাকে সাধারণ সংসদ সদস্যের নির্বাচনের মতো ৯০ দিন করা হয়েছে। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে জামানতের অর্থ বিদ্যমান আইনে ১০ হাজার টাকা রয়েছে। সেটাও বাড়িয়ে সাধারণ সদস্যের ২০ হাজার টাকা করা হচ্ছে।
সভায় আলোচ্যসূচির বিবিধ বিষয়ে ইভিএম বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান সচিব।
রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিষয়ে সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২৩ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।