আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের ডালপালা ছড়িয়েছে। বাংলা নববর্ষে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলার শপথ নিতে হবে।
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোভাযাত্রাপূর্ব আলোচনা সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে এই সভা হয়। সভা শেষে শোভাযাত্রা বের হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পয়লা বৈশাখের দিনটি অসাম্প্রদায়িকতার মর্মবাণী প্রচারের দিন। বাঙালির আত্মপরিচয়ের অংশ পয়লা বৈশাখ। বহুদিন পর চিরচেনা পরিবেশে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের চেতনা অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যাঁরা বিশ্বাসী, আমাদের প্রধানতম শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষের ডালপালা ছড়িয়েছে, শপথ নিতে হবে, বাংলা নববর্ষে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে আমরা উপড়ে ফেলব।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, পয়লা বৈশাখের সঙ্গে যাদের সংঘাত, তারাই সাম্প্রদায়িক কথা বিশ্বাস করে। পয়লা বৈশাখ অনেকে পালন করে না। কারণ, তাদের আদর্শ সাম্প্রদায়িকতা, তাদের আদর্শ দ্বিজাতিতত্ত্ব, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবিশ্বাস করা। তাদের আদর্শ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা। এই অপরাধনীতির সাম্প্রদায়িকতার অশুভশক্তিকে পরাজিত করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালি জাতির জন্য গৌরবের। বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যের সবকিছুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কে উদ্যাপনে বারণ করল, কোন দল পালন করল না, সেদিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। যত দিন এই দেশে আওয়ামী লীগ থাকবে, পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পয়লা বৈশাখ নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। অর্থনৈতিক সংকটের সমাধানের অংশ পয়লা বৈশাখ। পয়লা বৈশাখের পরে ঈদ। পরপর এই দুটি উৎসবে শহর-গ্রামে বাণিজ্য, কেনাকাটা হবে। অর্থনীতিকে চাঙা করার এক সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। অর্থনীতিতে আসবে নতুন প্রাণ।
সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।