‘বিজয়ের মাসে পাকিস্তানি বাহিনীর মতোই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির পরাজয় হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বিজয়ের ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রা থেকে গণমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নয়াপল্টনে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে ঘোষণা দিয়ে শেষে গোলাপবাগের গরুর হাটে ৫০ হাজার লোকের সমাবেশ করেছে। সরকারকে পদত্যাগ করাতে এসে নিজেরাই পদত্যাগ করে চলে গেছে। এভাবে ১০ ডিসেম্বর তাদের বড় পরাজয় হয়েছে।’
‘বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে, মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব অপশক্তিকে অবদমিত করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়াই আওয়ামী লীগের প্রত্যয়।
এর পরপরই সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫১ বছর: আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’–এ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্যমন্ত্রী।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংরক্ষণ করার জন্য মন্ত্রী চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের তৎকালীন কর্মরতদের প্রতি অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানান।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় তথ্য ও সম্প্রচারসচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহীন ইসলাম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন এবং ডিএফপির পরিচালক (প্রশাসন ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ আলী বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী ও সচিব অনুষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিএফপি আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।