ভোট দিতে জনগণকে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার এবং জনগণ তাদের ভোট দেবে। ভোট দেওয়া থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার এবং হত্যা করার অধিকার কারও নেই।’
প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কেউ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ‘কেউ এটা করলে একদিন দেশের জনগণই তাদের ছুড়ে ফেলবে, এটাই বাস্তবতা।’
ট্রেনে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগের পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগ এবং মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের প্রতি কোনো করুণা দেখানো হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ বিএনপির হরতালে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা কী লাভ করবে, বরং শেষ পর্যন্ত জনগণ তাদের ঘৃণা করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে, তখনই জনগণের কল্যাণ করে এবং আওয়ামী লীগ সরকার একে একে জনগণের সব মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ “নৌকা” প্রতীকে ভোট দিলে এবং আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে জনগণের বাকি চাহিদাগুলোও পূরণ হবে ইনশা আল্লাহ।’
বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কারও নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা না নেওয়াটা তাদের ব্যাপার, কিন্তু অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা হবে কেন? রেললাইনের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলা এবং রেলের বগিতে আগুন দেওয়া সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড, কারণ সরকারি সম্পত্তি গণমানুষেরই সম্পত্তি। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এটা কোন ধরনের সরকারবিরোধী আন্দোলন?’ ট্রেনের আগুনের হাত থেকে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে এক শিশু ও তার মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জোটের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দৃশ্যের মতো বেদনাদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। একজন মানুষ কীভাবে এটা করতে পারে?’ প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, পুলিশ, সাংবাদিক ও জনগণের ওপর হামলা করাটা কোন ধরনের রাজনীতি?