গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

কে এমপি হবে, কে মন্ত্রী হবে—দিল্লি সিদ্ধান্ত দিত: গয়েশ্বর রায়

গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত বাংলাদেশের ওপর সীমাহীন খবরদারি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, এত দিন দেখা গেছে, দিল্লির সংকেত ছাড়া একটা ব্যাংকের কেন্দ্রীয় নিয়োগ হয়নি। কে কোথায় বিচারপতি হবেন, কে কোথায় বড় পদে থাকবেন, কে এমপি হবেন, কে মন্ত্রী হবেন—তারা সিদ্ধান্ত দিত। শুধু অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে পরিচালনায়ও তারা হস্তক্ষেপ করেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর এ কথাগুলো বলেন।

ভারতকে এই প্রবণতা পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর রায় বলেন, কোনো স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে কাকে কোথায় বসাবে। অন্যের পরামর্শের দরকার নেই। আমরা বন্ধুত্ব চাই, কারও প্রভুত্ব চাই না।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে এসেছেন, তাঁরা প্রায়ই আসেন। এখন নতুন প্রেক্ষাপট। নতুন করে তিনি যা বলছেন তাতে বোঝা যায়, সম্পর্কের মাঝে কোনো ফাঁকফোকর ছিল। সে জন্য সম্পর্কটা নতুন করে নতুন আঙ্গিকে, বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণের যে চেতনাবোধ ও আকাঙ্ক্ষা—সেটি উপলব্ধি করতে সচেষ্ট হবে ভারত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা দেশের সঙ্গে দেশের হতে হবে, কোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে নয়।

ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থকে সমুন্নত রেখে সমমর্যাদার ভিত্তিতে যদি বন্ধুত্ব থাকে; তাহলে সেটি উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে বলেও গয়েশ্বর রায় মন্তব্য করেন।

এর আগে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সুইডেনপ্রবাসী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন জিন্টুকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দুই ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ১৯৮২ সালে মহিউদ্দিনের ফাঁসির দণ্ড হয়। ২০০৫ সালে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের ১০ দিন পর ২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ তাঁর সাজা মওকুফ করে দেন।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।