ঢাকা মহানগরের ১৫টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এ ১৫টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম নানা অসঙ্গতির কারণে এসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন।
মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ও বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয় থেকে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত তথ্য বলছে, ঢাকা-৪ থেকে ঢাকা–৮ পাঁচটি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। তাঁদের প্রার্থিতাসহ ৫০ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা–৭ আসন থেকে সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমানের মনোনয়ন ফরম বাতিল হয়েছে। কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ না করা এবং ঋণখেলাপি থাকার কারণে তাঁর মনোনয়ন ফরম বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম।
আর ঢাকা–৫ আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কামরুল হাসানের মনোনয়ন ফরম বাতিল হয়েছে। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সালমান ফজলুর রহমান ও জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য দলের আরও পাঁচজনের প্রার্থিতা বৈধ হয়েছে।
ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের কামরুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির শাকিল আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। হলফনামায় সাক্ষ্য না থাকায় ইসলামী ঐক্যজোটের আশরাফ আলী জেহাদীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আয়কর রিটার্ন দাখিলে সমস্যার কারণে এই আসনে জাকের পার্টির আবুল কালামের প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নসরুল হামিদ, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মনির সরকার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জাফর, জাকের পার্টির আবদুর রাজ্জাক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবদুস সালাম ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. রমজানের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী রেজা, মো. ফারুক ও তরিকত ফেডারেশনের আবদুল কুদ্দুস মিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।