দেশকে যারা আবার পুরোনো ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় ফেরত নিতে চায়, তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে দেওয়ার কথা বলেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেঙ্গলী মিডিয়াম হাইস্কুলে এক অনুষ্ঠানে জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে মোহাম্মদপুর-আদাবর অঞ্চলে আহত, নিখোঁজ ও শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও স্মরণসভার আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, যে মানুষ সব মানুষের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জীবন দিতে পর্যন্ত কুণ্ঠাবোধ করেননি, তাঁরা জাতির জন্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম দায় তাঁদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া। আর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনাসহ প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে শ্রমিকেরা জীবন বাজি রেখে ফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধ করেছেন। তাই পতিত ফ্যাসিস্টরা যাতে কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সে ব্যাপারেও শ্রমিকদের সচেতন থাকতে হবে।
স্মরণসভায় গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ শহীদদের পূর্ণ তালিকা করা ও আহত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবর অঞ্চলে ২২ জন নিহত, ২২৭ জন আহত ও ২ জন নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পেয়েছে গণসংহতি আন্দোলন বলে এ আয়োজন থেকে জানানো হয়।
নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে অতি দ্রুত পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলো যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সরকারকে দ্রুত আহত ব্যক্তিদের বিনা মূল্যে চিকিৎসায় মনোযোগী হতে হবে।
এ আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের মোহাম্মদপুর থানার সংগঠক ফাইয়াজ ফিরোজ। গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক হাসান আল মেহেদীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু হানীফা, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার প্রমুখ।