সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্যদের কার সম্পদ কত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আবারও যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের অনেকের আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে। পরপর দ্বিতীয়বারের মতো সংসদে এসেছেন ৮ জন। এই সংসদে সংরক্ষিত আসনের ৫০ জন সদস্যের মধ্যে ২৬ জনের ব্যাংকে জমা টাকা, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, সোনার অলংকার ও গাড়ির দাম মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পদ কোটি টাকার বেশি।

সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা দিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। এর মধ্যে ৪৮টি আসনে আওয়ামী লীগের এবং বাকি ২টি সংরক্ষিত আসনে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থীরা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভায় চারজনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।

ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণ মিলিয়ে তাঁর দায় আছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার। বিগত পাঁচ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দেড় গুণ হয়েছে।

নতুন প্রতিমন্ত্রী চারজনের সম্পদ

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আতাউর রহমান খানের মেয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান চট্টগ্রাম থেকে গত একাদশ সংসদে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে হলফনামায় তিনি তাঁর বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন প্রায় ৩০ লাখ টাকা, যা মূলত কৃষি খাত ও সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর সম্মানী থেকে আসে। নগদ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, গাড়ির দাম, সোনার অলংকার ইত্যাদি মিলিয়ে তাঁর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার। ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণ মিলিয়ে তাঁর দায় আছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার। বিগত পাঁচ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দেড় গুণ হয়েছে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা পেশায় চিকিৎসক ও আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক। চিকিৎসা পেশা থেকে বছরে তাঁর আয় সাড়ে ১০ লাখ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর নগদ ৩৩ লাখ টাকা রয়েছে, আর সঞ্চয়পত্র আছে ৫৮ লাখ টাকার। তাঁর মালিকানায় থাকা গাড়ির মূল্য ৫২ লাখ টাকা। রোকেয়া সুলতানা যৌথ মালিকানায় ২০ বিঘা কৃষি আর ২০ লাখ টাকা মূল্যের অকৃষিজমির মালিক।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আওয়ামী লীগের শিক্ষা, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাঁর নগদ ২৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা রয়েছে। আর স্থায়ী আমানত রয়েছে ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। শামসুন নাহারের ৯০ ভরি সোনা রয়েছে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা। নগদ ২৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা রয়েছে তাঁর। ব্যাংকে আছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। প্রায় ৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ৫ লাখ টাকার এফডিআর (স্থায়ী আমানত) রয়েছে। হলফনামা অনুযায়ী তাঁর ২টি গাড়ি রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আওয়ামী লীগের শিক্ষা, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তাঁর নগদ ২৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা রয়েছে। আর স্থায়ী আমানত রয়েছে ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। শামসুন নাহারের ৯০ ভরি সোনা রয়েছে।

পুরোনোদের হলফনামা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন মেহের আফরোজ। নির্বাচনে হেরে যাওয়া মেহের আফরোজকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। তিনি নবম সংসদের সদস্য ছিলেন। হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেহের আফরোজ বাড়িভাড়া থেকে পান বছরে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। এর বাইরে তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। তাঁর নগদ ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ও ব্যাংকে ৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা জমা আছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগের হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর ব্যাংকে জমা ছিল ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

বর্তমানে মেহের আফরোজের মালিকানায় থাকা কৃষিজমির মূল্য ৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সাড়ে ৩০ লাখ টাকা দামের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। আয়কর বিবরণীর তথ্য অনুযায়ী, তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবার সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হয়েছেন। তিনি ব্যবসা থেকে বছরে ২৩ লাখ টাকা আয় করেন। এ ছাড়া তাঁর বার্ষিক আয় ১১ লাখ টাকা। তাঁর ব্যাংকে ৬৫ লাখ টাকা রয়েছে। তাঁর মালিকানাধীন গাড়ির দাম ৫৪ লাখ টাকা। মন্নুজানের উত্তরায় ৫ কাঠা ও খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় ৫ কাঠার দুটি প্লট রয়েছে। মন্নুজানের ২৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি মৎস্য ও পোলট্রি খামার রয়েছে।

ঢাকা-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন সানজিদা খানম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তবে সংরক্ষিত আসনে তাঁকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সানজিদা আইন পেশা থেকে বছরে আয় করেন ১৯ লাখ টাকা। তাঁর নগদ ২০ লাখ ও ব্যাংকে ২৪ লাখ টাকা রয়েছে। তাঁর মালিকানাধীন গাড়ির দাম ৬৩ লাখ টাকা। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সানজিদার নগদ ১ লাখ ও ব্যাংকে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ছিল। তাঁর সাড়ে ৭ কাঠার একটি অকৃষিজমি, দ্বিতল একটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। দুটি ফ্ল্যাটের মূল্য দেখানো হয়েছে ৬৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবার সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হয়েছেন। তিনি ব্যবসা থেকে বছরে ২৩ লাখ টাকা আয় করেন। এ ছাড়া তাঁর বার্ষিক আয় ১১ লাখ টাকা। তাঁর ব্যাংকে ৬৫ লাখ টাকা রয়েছে। তাঁর মালিকানাধীন গাড়ির দাম ৫৪ লাখ টাকা।

সংরক্ষিত আসনে নবম ও দশম জাতীয় সংসদে সদস্য ছিলেন তারানা হালিম। দ্বাদশ সংসদে তারানা হালিম আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হয়েছেন। তাঁর নগদ ১ লাখ ও ব্যাংকে ৫ লাখ টাকা রয়েছে। তাঁর ধানমন্ডিতে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া একটি ফ্ল্যাট ও গুলশান অ্যাভিনিউয়ে দুটি কমার্শিয়াল স্পেস (বাণিজ্যিক স্থাপনা) রয়েছে। তাঁর ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

শাম্মী আহমেদ হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যার বেশির ভাগ আসে মূলধনি খাত ও ভাড়া থেকে। তাঁর নগদ ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ২০ লাখ টাকার শেয়ার, ৮০ ভরি সোনার অলংকার রয়েছে। তিনি ২৪ লাখ টাকা দামের সাড়ে ১১ কাঠা জমি এবং সাড়ে ৪ কোটি টাকা দামের দুটি বাড়ি দেখিয়েছেন, যা অস্ট্রেলিয়ায়।

অপরাজিতা হক একাদশ জাতীয় সংসদেও সংরক্ষিত আসনে সদস্য ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর বার্ষিক আয় প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তাঁর কাছে ৫৬ হাজার মার্কিন ডলার, ৬৩ ভরি সোনার অলংকার রয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর অস্থাবর সম্পদের মূল্য প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তাঁর ঋণ আছে ৫৬ লাখ টাকার।

নবম সংসদের সংরক্ষিত সদস্য শাহিদা তারেক এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হয়েছেন। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তাঁর নগদ ১ লাখ ৮৩ হাজার ও ব্যাংকে ১৯ লাখ টাকা আছে। বন্ড, শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৪০ লাখ টাকার। তাঁর মালিকানাধীন গাড়ির দাম ৬৪ লাখ টাকা। শাহিদার ৭২ ভরি সোনার অলংকার রয়েছে। ২ হাজার বর্গফুটের ৪৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি।

অপরাজিতা হক একাদশ জাতীয় সংসদেও সংরক্ষিত আসনে সদস্য ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর বার্ষিক আয় প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তাঁর কাছে ৫৬ হাজার মার্কিন ডলার, ৬৩ ভরি সোনার অলংকার রয়েছে।

নতুন সদস্যদের কার কত সম্পদ

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য হয়েছেন। হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। তাঁর নগদ ৮ লাখ ৪৩ হাজার ও ব্যাংকে ২ লাখ টাকা রয়েছে। মার্কিন ডলার রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ৭৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেখিয়েছেন তিনি। ৭ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জারা জাবীন মাহবুব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহকারী প্রেস সচিব কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর মেয়ে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, জারা জাবীন মাহবুবের বছরে আয় ৯০ লাখ টাকা। তাঁর নগদ রয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আয়কর বিবরণীর তথ্য অনুযায়ী, জারা জাবীনের সম্পদ আছে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার। তাঁর কৃষিজমি, দালান বা ফ্ল্যাট নেই। তবে ৫২ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদে যাওয়া হাছিনা বারী চৌধুরী ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। পেশায় রাজনীতিবিদ হাছিনা বারীর বছরে আয় ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তাঁর নগদ টাকা রয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ।

ফরিদা ইয়াসমিনের হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। তাঁর নগদ ৮ লাখ ৪৩ হাজার ও ব্যাংকে ২ লাখ টাকা রয়েছে। মার্কিন ডলার রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ৭৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেখিয়েছেন তিনি। ৭ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।

আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী জেনিথ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান। তিনি চাকরি থেকে আয় করেন বছরে ২৪ লাখ টাকা। তাঁর বন্ড ও শেয়ার রয়েছে দেড় কোটি টাকার। ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে ৬ লাখ টাকা জমা আছে ফরিদুন্নাহারের। তাঁর মালিকানায় থাকা গাড়ির দাম ৬৫ লাখ টাকা। তিনি ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৫ কাঠার একটি প্লট ও ৪১ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাটের মালিক। তাঁর ২৫ লাখ টাকার ঋণ রয়েছে।

আরও যাঁদের অস্থাবর সম্পদ কোটি টাকার বেশি, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদা খানম, আশ্রাফুন নেছা, শামীমা হারুন, পারভীন জামান, রুনু রেজা, নাদিয়া বিনতে আমিন, ফজিলাতুন নেসা, শবনম জাহান, বেদৌরা আহমেদ সালাম ও আরমা দত্ত।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলামের বছরে আয় ৬২ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদের মূল্য ৯ কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৩ টাকা।

জাতীয় পার্টির দুজনের সম্পদ

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি একাদশ সংসদেও সংরক্ষিত আসন থেকে সংসদে গিয়েছিলেন। তাঁর বছরে আয় ৬২ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদের মূল্য ৯ কোটি ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৩ টাকা। গত পাঁচ বছরে বার্ষিক আয় কিছুটা কমেছে। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় পাঁচ গুণ। তবে স্থাবর সম্পদ কিছুটা কমেছে।

জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুর নাহার। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর বার্ষিক আয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৬ লাখ ৫৫ হাজার। এ ছাড়া তিনি ২০০ শতক জমির মালিক।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ আসনে বিজয়ীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের ৯০ শতাংশের অস্থাবর সম্পদ কোটি টাকার বেশি।