মুখোমুখি পুলিশ ও বিক্ষোভকারী। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার উত্তরায়
মুখোমুখি পুলিশ ও বিক্ষোভকারী। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকার উত্তরায়

জনজীবনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার আহ্বান ছাত্রলীগসহ সাবেক ছাত্রনেতাদের

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারীদের উসকানিতে পা না দিয়ে জনজীবনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ও শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সাবেক নেতারা। আজ শুক্রবার ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রীর মতো বেশ কিছু সংগঠনের সাবেক ছাত্রনেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন। দেশের সব বিবেকবান শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী, মহলের কাছে তাঁরা এই আহ্বান জানান।

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী, শিশু, সাংবাদিক, পথচারী, শ্রমিক, পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি, কয়েক শ মানুষ আহত হওয়া, সরকারি স্থাপনা ও জনগণের সম্পদ ধ্বংসের অনাকাঙ্ক্ষিত হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো জাতির সঙ্গে সাবেক এই ছাত্রনেতারাও শোকাহত ও স্তম্ভিত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের দাবির আলোকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের বিচার, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরিসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকার ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা শিক্ষার্থীদের আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসী যখন শান্তি চায়, তখন উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করা যাচ্ছে যে নিরপেক্ষতার মুখোশধারী, স্বঘোষিত অভিভাবক, নামধারী গোষ্ঠী ও একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক মহল গোষ্ঠীগত সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে শিক্ষার্থীদের দুঃখ, বেদনা, কষ্ট, আবেগকে পুঁজি করে উসকানি দিচ্ছে।

সাবেক ছাত্রনেতারা বলেন, উসকানি দিয়ে তারা নতুন করে উত্তেজনা, অস্থিরতা, সংঘাত, সংঘর্ষ, অশান্তি তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তাঁরা।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, এস এম কামাল হোসেন, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি নুর আহমেদ, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ হিল কাইয়ুম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম, সহসভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা মোস্তফা আলমগীর, জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশোক ধর, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জিয়াউল হক, জাসদ ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল কবির, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি সাব্বাহ আলী।

বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেন ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মোশাহিদ আহমেদ, ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি রাজু আহমেদ, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি খায়রুল হাসান, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান, ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামসুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবীব শামীম, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল, জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ, সমাজবাদী ছাত্র জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শুভাশিস সমদ্দার ও ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি ইউনুস সিকদার।