নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকার ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবি-বাসদের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর আবারও একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে জোটের নেতারা এমন মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দুর্নীতি-লুটপাট ও পাচারের টাকা উদ্ধার, সিন্ডিকেট ভাঙা ও পাচারকারীদের বিচারের দাবিতে আজ বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টার এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
জোটের নেতারা বলেন, সরকারের দায়িত্বহীন আচরণের কারণে আজ দেশি-বিদেশি নানা শক্তি অপতৎপরতা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। গণ-আন্দোলন ও গণসংগ্রাম ছাড়া ভোটাধিকার আদায় ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না।
সমাবেশে বলা হয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। অথচ সরকার ব্যস্ত ক্ষমতা রক্ষা নিয়ে। অর্থনীতির অবস্থা নাজুক, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণহীন। অন্যদিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও বিদেশে টাকা পাচার থেমে নেই। এ অবস্থা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে হবে।
জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্ক্সবাদ) সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ডক্টরস ফর পিপলসের নেতা হারুন অর রশীদ, ৩১ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা রঘু অভিজিৎ রায়, পাটকল শ্রমিকনেতা গোফরান, খেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কৃষক সমিতির সহসাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, নারীনেত্রী সীমা দত্ত, রোখশানা আফরোজ প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে ৮ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ-বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।