জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চট্টগ্রামের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ড. কামাল হোসেন সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন সবাই চায়। জনগণ হাত তুলে রায় দিয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত অমান্য বা উপেক্ষা করলে, যে শাস্তি আপনারা পাবেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না।
চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয় আজ শনিবার বিকেলে। সেখানেই এ কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। চট্টগ্রাম নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন সংলগ্ন নুর আহমেদ সড়কে ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন।
ড. কামাল হোসেন সমাবেশে বলেন, সরকার হলো সেবক। আর জনগণ হলো দেশের মালিক। আজ চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে জনসভা করতে দেওয়া হয়নি। এ জন্য মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এটার কৈফিয়ত আদায় করতে হবে। তাঁদের শাস্তি দিতে হবে, যাঁরা এ কাজটা করেছেন। লালদীঘি ময়দান কেন দেওয়া হয়নি-এটার জবাব দিতে হবে। এটা কারওর বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। জনগণ এটার মালিক।
আজকের জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদের (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জনসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মো. মনসুরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
গতকাল শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নুর আহমদ সড়কে জনসভা করার অনুমতি দেয়। গত রোববার ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে পুলিশকে চিঠি দিয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন গতকাল লালদীঘি ময়দানের পরিবর্তে নুর আহমদ সড়ক ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এজন্য কিছু শর্ত আরোপ করে পুলিশ।
এর আগে সিলেটে গত বুধবার ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ করে। আজ চট্টগ্রামে ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় জনসভা। বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জাসদ-(জেএসডি) নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়।