সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রচুর ‘টাকাপয়সা’ দিয়ে লবিং করাচ্ছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে কয়েকটি দেশের প্রশ্ন তোলার পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। তাঁর মতে, নির্বাচন নিয়ে অনেকগুলো দেশের সঙ্গে আলোচনা করলে একটি-দুটি দেশ প্রশ্ন তুলতেই পারে। এটা লবিংয়ের মাধ্যমেও হতে পারে।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
সুষ্ঠু পরিবেশ না পেলে যেকোনো মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারে বলে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পল্টনে যে ঘটনাটি বিএনপি ঘটিয়েছে, এটাতে তারা সুষ্ঠু পরিবেশ চায়? তাদের আচরণে তো তার কোনো প্রকাশ নেই।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যেভাবে বিএনপি পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এটা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটেছে। তাদের ছবি আছে, এটি গোপন করার কিছু নেই, গোপন করার কোনো সুযোগও নেই। বিএনপি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে যে দানবীয় কাণ্ড ঘটাল, এখানেই তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সংশয় রয়ে গেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের বিষয়টি এখন পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ওপর। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তফসিল ঘোষণার পর থেকে তা নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে গেছে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রাখেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র এখনো জমা হয়নি। এই মুহূর্তে এসব প্রশ্ন কেন আসে?
ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের পিএম ফেসের (প্রধানমন্ত্রী কে হবেন) প্রশ্নটা তো প্রথমে আমি করেছি। সংসদীয় গণতন্ত্রে কে হবেন তাদের প্রধানমন্ত্রী? যদি আপনারা (ঐক্যফ্রন্ট) নির্বাচিত হন। এ প্রশ্নটা আমি রেইজ (উত্থাপন) করেছি, এখন পর্যন্ত জবাব পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে সহিংস ভূমিকা, সেটাই বলে দিচ্ছে, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টা কতটা সংশয়ের ঊর্ধ্বে।
গতকাল নরসিংদীতে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে থেকে গ্রামে গ্রামে এই ঘটনা ঘটে আসছে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, তখন গণমাধ্যমে সেটাকে রাজনীতিতে জড়ায়নি। এখন নির্বাচন, তাই কিছু কিছু গণমাধ্যম এটাকে রাজনীতির সঙ্গে জড়াচ্ছে।
যুক্তফ্রন্ট নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে আসছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী প্রার্থীরা কে কোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসবে, সেটা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা সবাই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে, আমরাও জানিয়ে দিয়েছি। এখন আর জানাতে পারব না। অসুবিধা তো নাই, জোট হলে যুক্তফ্রন্ট কুলা মার্কা আর জাতীয় পার্টি লাঙ্গল মার্কায় করলে যে মার্কায় করবে—আমরা সাপোর্ট দেব।’