দেশের দুই কোটি পরিবারকে রেশনিংয়ের মাধ্যমে খাবার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য আজকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় চলে গেছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এক কোটি মানুষকে টিসিবির খাবার দেওয়া হবে। এটাও একটা ভুল সিদ্ধান্ত।’
আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন। 'মুক্তি কোন পথে, কতদূর? স্বাধীনতা কতটুকু সুরক্ষিত? মুক্তির বাহন শিক্ষা- ধর্ম শিক্ষার প্রতি অবহেলা কেন? জিডিপি কি মুক্তির সূচক? মানুষের কষ্ট মাপার সূচক কি?' শিরোনামে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, টিসিবির পণ্যের জন্য লাইন ধরে ছেলে, মেয়ে, পুরষ। চেহারা দেখলেও তো বোঝা যায়, কে কোন শ্রেণি থেকে এসেছে। তাদেরকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জাতিকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করবেন না প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দল ন্যায্য আন্দোলন করছে। আপনিও হয়তো জিনিসের দাম কমাতে চান, কিন্তু পারছেন না। সেটা আপনার ব্যর্থতা। সেখানে তাদেরকে আক্রমণ করছেন। এটা ভুল করছেন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আলোচনায় সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, দশম শ্রেণির সিলেবাস থেকে আগামী বছরের পরীক্ষাতে ধর্ম শিক্ষা বাদ দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণসহ এই সরকারকে প্রতিহত করতে হবে।’
বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা দুটি দেশই ভীষণ রকম মুসলিম বিদ্বেষী উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, ‘আজকে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি ইউক্রেনকে রাশিয়ার দখলের স্বীকৃতি দেন, তাহলে আপনার প্রতিবেশীরা যদি বাংলাদেশ দখল করতে চায়, তখন কী করবেন?’ বর্তমান সরকার নিজের সুবিধার জন্য এই আগ্রাসন সমর্থন দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নুরুল হক।
এ সময় আরও কথা বলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, প্রগতিশীল ন্যাপের আহ্বায়ক পরশ ভাসানী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।