১৩ মাস পর খুলনা নগর আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন

আওয়ামী লীগের লোগো
আওয়ামী লীগের লোগো

দীর্ঘ ১৩ মাস পর খুলনা নগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতির নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা গতকাল রোববার খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পাঠানো হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয় তালুকদার আবদুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় এম ডি এ বাবুল রানাকে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুলনার সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলর অধিবেশনে এ ঘোষণা করেন।

দীর্ঘ ১৩ মাস পর গতকাল রাতে ৭৪ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে ১১ জনকে। তিনজন করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। আর সদস্য রাখা হয়েছে ৩৫ জনকে। সদস্যেদের ৩৫টি পদ বাদে অন্য ৩৯টি পদের মধ্যে মাত্র একজন নারী পদ পেয়েছেন। সদস্য পদে আছেন আরও দুজন নারী। খুলনা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা কমিটিতে আছেন। কমিটিতে আইনজীবী ও সাংবাদিকেরাও রয়েছেন।

কমিটির সহসভাপতিরা হলেন খুলনা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি কাজী আমিনুল হক, শেখ হায়দার আলী, কাজী এনায়েত হোসেন, বেগ লিয়াকত আলী, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, শেখ শহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, রজব আলী সরদার, আইয়ুব আলী শেখ এবং মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া তিনজন হলেন অধ্যক্ষ শহিদুল হক, জামাল উদ্দিন ও মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন শেখ ফারুক হোসেন, আবুল কালাম আজাদ কামাল ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবীর।

কমিটিতে আইন সম্পাদক পদ পেয়েছেন খন্দকার মজিবর রহমান, কৃষি সম্পাদক শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আলী আকবর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. শাহাজাদা, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সী মাহবুব আলম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চান ফারাজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড এ মাহমুদ, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক শামছুজ্জামান মিয়া, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অলোকানন্দা দাস, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ মো. ফারুক হাসান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ–বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ ইউনুস আলী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, উপদপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ শেখ নুর মোহাম্মদ।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের ত্যাগী নেতা–কর্মীদের মূল্যায়ন করেই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অতীতে দলে যাঁদের অবদান ছিল, এমন কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি। কমিটিতে তিনজন নারী রাখা হয়েছে। তিনজনই গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। গুরুত্বপূর্ণ পদের মানুষকে সমন্বয়ন করতে পেরেছি। কমিটি কেমন হয়েছে, তা মূল্যায়ন করবে জনগণ।’