হেল্পলাইনে নাগরিক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেব: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস আজিমপুরের নতুন পল্টন লাইন এলাকায় প্রচারে অংশ নেন। ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি। ছবি: সাইফুল ইসলাম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস আজিমপুরের নতুন পল্টন লাইন এলাকায় প্রচারে অংশ নেন। ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি। ছবি: সাইফুল ইসলাম

নগরবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সমাধানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, ‘হেল্পলাইন চালু করব, যাতে ঢাকাবাসী যেকোনো অভিযোগ দিতে পারবে। তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হবে। হেল্পলাইনের মাধ্যমে সমাধান না পেলে তারা সরাসরি মেয়রকে ফোন করতে পারবে। মেয়র সঙ্গে সঙ্গে সমাধান দেবে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর-নিউমার্কেট এলাকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩ নম্বর গেটের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে সাংবাদিকদের এমন প্রতিশ্রুতির কথা জানান শেখ ফজলে নূর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে মেয়র হিসেবে নয়, একজন সেবক হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২৪ ঘণ্টা ঢাকাবাসীর সেবা করব।’

ভোটারদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, সার্বক্ষণিক ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো হবে। ৯০ দিনের মধ্যেই নাগরিকদের সব ধরনের মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুরান ঢাকা নিয়ে তাঁর বিস্তারিত পরিকল্পনা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতে কোনো মেয়র পুরান ঢাকা নিয়ে আলাদা করে কোনো পরিকল্পনা করেননি।

রাজধানীর আজিমপুর-নিউমার্কেট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: সাইফুল ইসলাম

ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা—এই পাঁচ ধাপে তাঁর উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা আবারও ঘোষণা করেন শেখ ফজলে নূর। তিনি বলেন, নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে শুরু করে বাসযোগ্য সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলবেন। রাস্তায় আবর্জনা থাকবে না। মশকনিধন, সবুজায়ন—এসব নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে করা হবে। প্রাণের ঐতিহ্যের ঢাকা থাকবে একটি গর্বের জায়গায়। ৩০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ঢাকা গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।

দুপুর ১২টার দিকে জনসংযোগ শুরু করেন ঢাকা দক্ষিণে নৌকার মেয়র প্রার্থী। হেঁটে হেঁটে আজিমপুর ও লালবাগের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে প্রচারে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় শত শত নেতা–কর্মী স্লোগান দিয়ে তাঁর সঙ্গ নেন প্রচারে।