চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলার দুই দিন আগে পরিকল্পনা হয়। পরিকল্পনামতো ঘটনার দিন মুসল্লিদের জড়ো করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্র অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম বন্দর থানার এক নেতা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য দেন বলে কোতোয়ালি থানার ওসি জানান।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে হাবিবুল্লাহ মিজান এই জবানবন্দি দেন। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম বন্দর থানা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক।
হামলার এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ নগর ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠন যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতা-কর্মীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাঁদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত সাতজনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাতজনের মধ্য একজন ছাড়া অন্যরা ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মী।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাত আসামিকে হাজির করা হলে একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বাকি ছয় আসামিকে আদালত কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
ওসি নেজাম বলেন, জবানবন্দিতে মিজান বলেন, ঘটনার দুই দিন আগে ১৩ অক্টোবর শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা মোক্তারের বাসায় বৈঠক করেন যুব অধিকার পরিষদের নেতারা। সেখানে বিজয়া দশমীর দিনে তাঁরা আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ থেকে মিছিল করার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন তাঁদের মিছিল থেকে একটি অংশ যুব অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে জেএম সেন হলের দিকে চলে যায়। সেখান থেকে তারা পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা করে। পুলিশ গুলি ছোড়া শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।
কুমিল্লার ঘটনার জেরে ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের জেএম সেন হল পূজামণ্ডপে হামলা, ফটকের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও মণ্ডপে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ৫০০ জনকে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই মামলায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করে।